কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?

কাজ শিখার পর কি কি করতে হবে?

Default Asked on July 22, 2020 in Freelancing.
Add Comment
  • 1 Answer(s)
    প্রথমেই বলা হচ্ছে, কাজ সম্পূর্ণ না শিখে কখনো মার্কেটপ্লেসে আসবেন না। কারণ, এতে কাজ পেতে দেরি হবে, কাজ পেলেও আপনি বুঝবেন না, বায়ার আপনাকে খারাপ রেভিউ দিয়ে চলে যাবে। ফলাফল, আপনি আর কাজ নাও পেতে পারেন এবং ওই বায়ার কখনো আর কোন বাংলাদেশীকে কাজ দিবেনা। তাই বার বার বলা যে, সম্পূর্ণ কাজ না জেনে কখনো কেউ মার্কেটপ্লেসে আসবেন না। এমন কি ঘুরে দেখার জন্যেও আসবেন না। ঘুরে দেখার জন্য, মার্কেটপ্লেসের ফোরাম আছে, অ্যাকাউন্ট না খুলেও সেগুলো দেখা যায় এবং ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও আছে।
    কাজ শিখার পর ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য যা যা করতে হবেঃ
    আমি গ্রাফিক্স ডিজাইনার, তাই এর আলকেই বলসি।
    ১। শুধু সফটওয়্যার জানলেই হবে না, নিজে নিজে প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হবে। প্র্যাকটিস করার জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় রিসেলার মার্কেট এর ডিজাইন যোগাড় করে হুবহু কপি করতে পারেন। যত কপি করবেন, ততো আপনার অভিজ্ঞতা বারবে যে, এই ডিজাইনার এটা কিভাবে বানাল। যখন আপনি একদম কপি করা শিখে যাবেন, তখন নিজেই বুঝতে পারবেন, ওই টাইপ প্রোজেক্টের কাজ আসলে আপনি করতে পারবেন কিনা। এটা গ্রাফিক্স এবং ওয়েব ২ টার ক্ষেত্রেই খাটবে।
    ২। প্র্যাকটিসের পাশাপাশি নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু স্যাম্পল বানিয়ে ফেলবেন, যা দেখতে উনিক এবং আকর্ষণীয় হবে।
    ৩। আপনার নিজের বুদ্ধিতে বানানো স্যাম্পল গুলো নিয়ে পোর্টফলিও বানাবেন। মনে রাখবেন পোর্টফলিও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ফ্রীলেন্স জবের জন্য। এর উপরেই নির্ভর করবে আপনি কম নাকি বেশি কাজ পাবেন। বর্তমান বাংলাদেশের জন্য জনপ্রিয় পোর্টফলিও ওয়েবসাইট হল, গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য Behance এবং Flicker. ওয়েব ডিজাইনারদের জন্য আলাদা পোর্টফলিও সাইট আসে যেখানে তারা তাদের কোড করা সাইট গুলো লাইভ করে রাখতে পারে।
    বিঃদ্রঃ পোর্টফলিও তে কখনো ভুলেও কপি করা কিংবা প্র্যাকটিস করা ডিজাইন দিবেন না। এতে আপনার নিজের ক্ষতি হতে পারে, যখন আসল ডিজাইনার দেখে ফেলবে, তখন আপনাকে কপিরাইট এর জন্য রিপোর্ট করতে পারে। সেখত্রে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর অনেকে বায়ারের করা কাজ শেয়ার করে, সেটা করতে পারবেন, কিন্তু আগে সেই বায়ারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া বায়ারের কাজ কখনই শেয়ার করবেন না, এতেও রিপোর্ট খেতে পারেন।
    ৪। পোর্টফলিও বানানো শেষ হলে, ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলো নিয়ে একটু গুগল কিংবা ইউটিউবে ঘাটাঘাটি করুন। কারণ, আপনি যখন জব করতে যান, কিংবা ডিউটি শুরু করেন, প্রথম দিনই আপনার হাতে কয়েকটা কাগজের একটা বান্দেল দিয়ে দেয়, যেখানে, ওই প্রতিষ্ঠানের পলিসি এবং গতিবিধি দেওয়া থাকে, যেগুলো পড়ে সাইন করে, তারপর ডিউটি তে চলে যান। ঠিক তেমন, এইসব কারণ, আপনি যখন জব করতে যান, কিংবা ডিউটি শুরু করেন, প্রথম দিনই আপনার হাতে কয়েকটা কাগজের একটা বান্দেল দিয়ে দেয়, যেখানে, ওই প্রতিষ্ঠানের পলিসি এবং গতিবিধি দেওয়া থাকে, যেগুলো পরে সাইন করে, তারপর ডিউটি তে চলে যান।
    ঠিক তেমনই, যেই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান, সেই মার্কেটপ্লেসের ফোরাম, আর্টিকেল, টার্ম এন্ড কন্ডিশন পরুন। বুঝার চেষ্টা করুন। তারপর মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং প্রোফেসনাল ভাবে সাজান। নিজের অ্যাকাউন্ট সাজানর সময় টপ সেলারদের অ্যাকাউন্ট গুলো চেক করতে পারেন যে, উনারা কোন স্টাইলে সাজিয়েছেন। অবশ্যই সেক্ষেত্রেও কাউকে হুবহু কপি করা যাবে না। ধারণা নিয়ে, নিজের মতো করে সাজাবেন।
    ৫। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের জন্য অনেক ক্ষেত্রে পোর্টফলিও লাগে না। তবুও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে লাগে যেমন যারা ল্যান্ডিং পেজ এবং ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করেন। তাদের ক্ষেত্রে দরকারি। তারা Behance এ পোর্টফলিও এড করতে পারেন।
    Default Answered on July 22, 2020.
    Add Comment
  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.