পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ?

আমরা যে পা ছুঁয়ে সালাম করি সেটার কি ইসলামে বৈধতা আছে? এটা কি আমরা গুনাহর কাজ করছি না?  

Best Asked on July 22, 2020 in Solution.
Add Comment
  • 1 Answer(s)

    পা ধরে সালাম বা কদমবুসি করা ইসলামী শরী‘আত সম্মত নয়!!..”হারাম”..”হারাম”..
    আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন তার কোন ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহ’লে কি কেবল হাত ধরবে ও মুছাফাহা করবে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হ্যাঁ’।
    —তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৬৮০ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, মুছাফাহা ও মু‘আনাক্বা অনুচ্ছেদ-৩।
    কদমবুসি যাকে বাঙ্গালি মুসলিমরা নাম দিয়েছে পায়ে ধরে সালাম করা। অথচ সালাম কিভাবে পায়ে ধরে হয়!! কদমবুসি করা জঘন্যতম গুনাহ, বিবেক বিরোধী এবং নোংরামি।
    তিনটা দৃষ্টিকোণ থেকে কদমবুসি করার কুফল নিয়ে আলোচনা:

    ১)ইসলামি দৃষ্টিকোণ: কদমবুসি করা শিরক। কিছু মানুষ বলে কদমবুসি করা কিভাবে শিরক হয় আমরা তো সিজদা করিনা শুধু মাথা নুয়ে সালাম করি! অথচ মাথা নুয়ানো মানে সিজদাহ করা। কিছু মানুষ আছে যারা বলে আমরা কদমবুসি করার সময় চোখ উপরে তুলি তাই আমাদের সিজদাহ হয়না অতএব এই রকম চোখ উপরে তুলে কদমবুসি করা জায়েজ!! কি অদ্ভুত যুক্তি! এইদের যুক্তি মেনে নিলেও তবুও কদমবুসি করা হারাম। কেননা রাসুল (সা) বলেন, যে ব্যাক্তি অন্য কওমের সাদৃশ্য অবলম্ব করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে (মিশকাত হা/৪৩৪৭) . কদমবুসি করা বিধর্মীদের রীতি। অতএব কদমবুসি করা হারাম।

    ২)চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন: চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মানুষের শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার ও আনহাইজেনিক স্থান হল পা। তাহলে আপনি কিভাবে পাকে ধরছেন? আপনি হয়তো কদমবুসি করার কারনে
    অসুস্থ হতে পারেন।

    ৩)আকল বা বিবেক বুদ্ধির দৃষ্টিকোণ: যদি আপনার বিবেক বুদ্ধি সুস্থ হয় তাহলে আপনি অবশ্যই বলবেন মাথা নুয়ে কারর পা ধরা বেয়াদবি ও চরম অসম্মানজনক। কেননা আপনি যদি কাউকে ভালবাসেন অথবা সম্মান করেন তাকে আপনার পায়ে নয় বুকে জায়গা দিবেন।

    ইসলামে পায়ে ধরে সালাম করার কোনো বিধান নেই। এটি একেবারেই ইসলাম পরিপন্থী কাজ।এবং কাফির মুশরিক দের সাদৃশ্যতায় উদ্ভাবিত একটি বিদাত।আর বিদাত এর ব্যপারে-
    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন- “যে কেউ কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্যতা ধারণ করলো, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” [সূনান আবু দাউদ]
    আল্লাহ্ আমাদেরকে সকল প্রকার শির্ক ও বিদ’আত থেকে দূরে রাখুন!!

    Best Answered on July 22, 2020.
    Add Comment
  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.